মালয়েশিয়ার সরকার দেশটিতে ভ্রমণের জন্য এবং বিদেশ থেকে কর্মী গ্রহণের জন্য বেশ কয়েক ধরনের ভিসা সেবা চালু রেখেছে। যেহেতু বিভিন্ন ভিসায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে, তাই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে খরচের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা দেখা যায়।
বৈধ উপায়ে কাজের জন্য মালয়েশিয়া যেতে হলে আপনাকে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা সরকার নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে কাজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবং কাজভেদে ভিসার দাম ০৪ থেকে ০৫ লক্ষ টাকা, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এর থেকেও বেশি প্রয়োজন হতে পারে। তবে অবশ্যই মালয়েশিয়া যাওয়ার স্বপ্নকে সত্যি করতে হলে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এবং নির্ধারিত বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি দ্বারা ভিসা আবেদন করতে হবে।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে যেমন বিভিন্ন বয়সের চাহিদা রয়েছে, তেমনি মালয়েশিয়া গমনের জন্য যেসব ভিসা রয়েছে তারদে দামেরও ভিন্নতা রয়েছে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় গমন করে থাকে। তাই মালয়েশিয়া সরকার বিষয়টিকে মাথায় রেখে ট্যুরিস্ট ভিসার দাম সহনীয় পর্যায়ে রেখেছে। মালয়েশিয়া ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে হলে ৫ হাজার ৮০০ টাকা জমা দিতে হয়। মালয়েশিয়ায় ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়া সহজ এবং একবারে সর্বোচ্চ তিনমাস পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় থাকা যায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিমানের যাওয়া ও আসার টিকিট এবং যে হোটেলে থাকবেন তার প্রমাণপত্র সাথে রাখবেন।
মালয়েশিয়ায় ওয়ার্কিং ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিতে ফি পরিশোধ করে মালয়েশিয়া যেতে চাইলে আপনাকে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা প্রদান করতে হবে। তবে পাসপোর্ট খরচ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিবন্ধন ফি, কল্যাণ ফি, বিমা, স্মার্টকার্ড ফি, সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ ইতায়দি বহন করতে হবে কর্মীকে। অন্যদিকে বিমান ভাড়া সহ যাবতীয় খরচ বহন করার কথা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের।
কিন্তু বর্তমানে মালয়েশিয়া ভিসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এজন্য বেসরকারিভাবে অর্থাৎ বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমেও প্রচুর সংখ্যক মানুষ মালয়েশিয়ার পথে পাড়ি জমাচ্ছেন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার নির্ধারিত ফি দিয়েই মালয়েশিয়া যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। উড়োজাহাজ ভাড়া, মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের সিকিউরিটি ডিপোজিট, বিমা, মালয়েশিয়ায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, করোনার সংক্রমণ পরীক্ষাসহ ১৫টি খাতের খরচ সহ মোট খরচ অনেক ক্ষেত্রেই ৫-৬ লক্ষ টাকায় গড়াচ্ছে।
তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির চাহিদানুযায়ী সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মীকে দক্ষ করে গড়ে তোলা, বিমান ভাড়া বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আর মালয়েশিয়া ভিসা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
মালয়েশিয়া অভিমুখী মানুষের কথা চিন্তা করে JG Alfalah Management সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করে সর্বনিম্ন খরচে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা যাচ্ছে। কর্মীবান্ধব চাকুরীর নিশ্চয়তাসহ ভিসা প্রসেসিং এর যাবতীয় কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পাদন করে মালয়েশিয়া অভিমুখী মানুষের জন্য জেজি আলফালাহ আস্থার শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে।
মালয়েশিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া উভয় দেশের আইন অনুযায়ী কোন কাজের জন্য কর্মীর সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮ বছর।
তবে সাধারণত কাজের ধরণ এবং যোগ্যতানুযায়ী মালয়েশিয়ায় কর্মীর বয়সকে বিবেচনা করা হয়। যাদের বয়স ২২ থেকে ৩০ এর মধ্যে তারা সাধারণ সকল ধরনের কাজের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়ে থাকে। কারণ এই বয়স সীমার মানুষ যেকোন কাজ খুব সহজেই এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে পারে। বিশেষ করে ফ্যাক্টরি ভিসায় এই বয়স সীমার মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
তবে অনেক সময় দেখা যায়, বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য মালয়েশিয়ান কোম্পানিগুলো ২২ থেকে ২৫ বছরের তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এ কারণে তরুণদের জন্য ভিসা প্রসেসিং করা বেশ সহজ হয়। তবে এমন নয় যে, বয়সসীমা বেশি হলে আপনি আপনার কাঙ্খিত কাজের সন্ধানে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন না। কোম্পানিভেদে বয়স, যোগ্যতা উভয়ই শিথীলযোগ্য হতেও দেখা যায়।
অন্যদিকে, যাদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ এর মধ্যে, সাধারণত তারা কলিং ভিসায় বিভিন্ন কাজে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন কৃষি কাজের ভিসা পাওয়া এদের জন্য সহজ হয়। যেহেতু মালয়েশিয়াতে কৃষি কাজেরও প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং মজুরীও তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য, তাই বয়স নিয়ে তেমনটা মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক কাজের জন্য জেজি আলফালাহ হতে পারে আপনার নির্ভরতার নিশ্চিন্ত প্রতীক।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে?
সাধারণত মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন ফরম জমা দেওয়ার পর থেকে ৭-১৪ কর্মদিবসের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পাদন করা সম্ভব। তবে বেশিরভাগ সময়ই ভিসার জন্য আবেদন করার পর অন্যান্য কাজ শেষ করে মালয়েশিয়ায় কাজে যোগ দিতে দিতে প্রায় দুই থেকে তিন মাসের মতো সময় লাগে। তবে ক্ষেত্রভেদে সময়ের তারতম্য ঘটে। যদি কাগজপত্র সব ঠিক থাকে এবং সঠিক সময়ে ভিসার জন্য যাবতীয় কাগজ প্রসেস করা যায় তবে আপনি ২ মাসের মধ্যেই মালয়েশিয়ায় কাজে যোগ দিতে পারবেন।
আবার আপনি যদি জানতে চান, বিমানে চড়ার পর মালয়েশিয়া পৌঁছাতে কত সময় লাগে! তবে তার উত্তর জানতে প্রথমে জানতে হবে বিমানপথে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব কতটুকু। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার বিমান পথের দূরত্ব হচ্ছে ২,৬৪২ কিঃমিঃ। বিমানের ধরন এবং যাত্রার ধরণ অনুযায়ী বিমানে চড়ার পর থেকে মালয়েশিয়ায় অবতরণ পর্যন্ত প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় লাগে। তাছাড়া ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ শেষ করতেও কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।
মালয়েশিয়া যেতে কোথায় যোগাযোগ করতে হবে?
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বহু সংখ্যক মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পেলেও অনেকের জন্য এই যাত্রা সুখকর হয় না। পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয় এবং দালালের খপ্পরে পরে অনেকেই সর্বশান্ত হোন। যদি আপনি সহজে এবং নিশ্চিন্তে মালয়েশিয়ায় রোজগাড়ের পথ খুঁজতে চান তবে বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার বিকল্প নেই। আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতা উনুযায়ী সঠিক কাজের জন্য মালয়েশিয়া যেতে হলে যোগাযোগ করুন জেজি আলফালাহ ম্যানেজমেন্টের সাথে।
শেষকথা
মালয়েশিয়ায় চাকুরীর পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ভিসায় মালয়েশিয়া সরকার ক্রমান্বয়ে বাংলদশ থেকে কর্মী নিয়োগ করে চলেছেই। তাই দালালের লোভনীয় কথায় নিজের ভিটে – বাড়ি বিক্রি করে সর্বশান্ত না হতে চাইলে এবং বৈধ পথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্যে যোগাযোগ করুন +8801321145901 এই নাম্বারে।
Leave a Reply