• Opening Time : 9:00 AM - 6:00 PM

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন এবং চেক করার নিয়ম

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন এবং চেক করার নিয়ম

মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রায় ১৫ ধরনের ভিসা সেবা চালু রেখেছে সেদেশের সরকার। তবে এর মধ্যে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা এবং ট্যুরিস্ট বা ভিজিটিং ভিসায় বহু মানুষ দেশটিতে যাতায়াত করে থাকে।

 

যেহেতু মালয়েশিয়ায় প্রচুর কাজের চাহিদা রয়েছে তাই এ চার ধরনের ভিসার মধ্যে শুধুমাত্র ওয়ার্কিং ভিসায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ মালয়েশিয়ায় যাতায়াত করে। বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর ক্রমবর্ধমান এ চাপকে সামাল দিতে বেশ কিছু বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি করে থাকে।

 

তাহলে আর অপেক্ষা না করে চলুন এ পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিই মালয়েশিয়ায়র ভিসার জন্য আবেদন করার যাবতীয় নিয়ম কানুন, কোথায় আবেদন করতে হবে এবং সঠিকভাবে আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন। মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার পর তা কিভাবে চেক করবেন তাও এ পোস্টটিতে উল্লেখ থাকছে এবং আরো থাকছে বেশ কিছু কার্যকরী টিপস যা ভিসা আবেদনটি সঠিকভাবে সম্পাদন করতে অবশ্যই কাজে লাগবে।

 

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদনের কাজটি তিনভাবে সম্পাদন করা যায়। আপনি তিনটি উপায়ের যেকোন একটি পছন্দসই উপায়ে ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

 

যে তিনভাবে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করা যায়ঃ

১. বিএমইটি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে

২. রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে এবং

৩. আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে
 

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশনঃ

যেভাবেই মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে চান না কেন প্রথমে অবশ্যই বিএমইটি বা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি বা আমি প্রবাসী অ্যাপ এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করলেও বিএমইটির এপিআই ব্যবহার করে তারা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ওয়েবসাইট থেকে রেজিস্ট্রেশন কাজটি সম্পাদনা করে থাকে।

 

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো কার্যালয় দেশের ৪২ টি জেলা শহরে অবস্থিত এবং ১১ টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের যেকোন একটিতে উপস্থিত হয়েও অফিস সহকারীর সহায়তায় আপনি আবেদন করতে পারবেন।

 

যদি আপনি নিজ জেলার জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো কার্যালয়ে যোগাযোগ করে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অবশ্যই সাথে নিয়ে যাবেনঃ

 

  • জাতীয় পরিচয়পত্র/ ভোটার আইডি কার্ড
  • আপনার পাসপোর্ট যার মেয়াদ কমপক্ষে আরো ২ বছর আছে,
  • সদ্য তোলা সাদা ব্যাকগ্রউন্ডের পাসপোর্ট সাইজ ছবি,
  • করোনা ভাইরাস টিকা কার্ড,
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট,
  • কাজের অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট এবং
  • কাজের ধরণ অনুযায়ী অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

 

আবেদন গ্রহণের কিছুদিন পর যাচাই বাছাই শেষে তা গৃহীত হলে আপনার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। সঠিক সময়ে আবেদন গ্রহণের তথ্যটি জানতে হলে অবশ্যই নিয়মিত ফোনের ম্যাসেজ চেক করতে ভুলবেন না।

 

অনলাইন রেজিস্ট্রেশনঃ

মালয়েশিয়া ভিসা রেজিস্ট্রেশনের দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন। অর্থাৎ বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। 

 

মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্ট্মেন্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে যে ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, সে ধরেনের ভিসার আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করতে হবে। আবেদন ফরম সঠিক ভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন ও ভিসা ফি প্রদান করে নির্দিষ্ট সময় পর ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।

 

যারা মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা এবং অন্যান্য ভিসার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন তাদেরও এই নিয়মে আবেদন করতে হবে।

 

আমি প্রবাসী অ্যাপঃ

আপনার ফোনটি যদি এন্ড্রয়েড হয় সেক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর থেকে আমি প্রবাসী অ্যাপটি ডাউনলোড করার মাধ্যমেও আপনি মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

 

আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হলে কয়েকটি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন পাসপোর্ট, সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি, সার্টিফিকেট ইত্যাদি ভালো করে স্ক্যান করে স্ক্যানকপি আপ্লোড করতে হবে।

 

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদনের জন্য সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার ৩ দিন বা ৭২ ঘন্টা পর সকল তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তথ্য যাচাই সফল হলে বিকাশ বা অন্যন্য মাধ্যমে ৩০০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।

 

এরপর আপনার কাঙ্খিত চাকুরী খুঁজতে প্রথমে অ্যাপটিতে লগ ইন করতে হবে। অ্যাপটিতে চাকরি খুঁজুন

বাটনে ক্লিক করলে আপনি সকল চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখতে পাবেন। এখান থেকেই আপনার জন্য প্রযোজ্য পদে আবেদন করার মাধ্যমে আবেদন কাজটি চূড়ান্ত করুন।

 

যদি আপনার আবেদনটি গৃহীত হয় তবে অ্যাপের ইনবক্সে ম্যাসেজের মাধ্যমে তা আপনাকে জানানো হবে। এজন্য অবশ্যই নিয়মিত ইনবক্স চেক করবেন।

 

মালয়েশিয়া ট্যুরিস্ট বা ভিজিট ভিসায় যেতে হলে যেসব  ডকুমেন্টস লাগবে

অনেকেই আবার স্বল্প কিছুদিনের জন্য মালয়েশিয়া ঘুরতে যেতে চান। ট্যুরিস্ট বা ভিজিটিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় যেতে হলে যেসব ডকুমেন্টস প্রয়োজন সেগুলোও উল্লেখ করা হলো।

 

  • কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদসহ বৈধ পাসপোর্ট, 
  • জাতীয় পরিচয়পত্র
  • মালয়েশিয়া ভিসার অনলাইন আবেদন ফরম
  • সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • বিমানের রিটার্ন টিকেট
  • ব্যাংক স্টেইটমেন্টের কপি
  • হোটেল বুক করার কপি
  • যার আমন্ত্রণে মালয়েশিয়া যাবেন তার রেফারেন্স লেটার
  • যদি পূর্বে মালয়েশিয়াতে ভ্রমন করে থাকেন তবে তার ভিসার কপি

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার নিয়ম

যদি ইতিমধ্যেই আপনি মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার উপরের ধাপগুলো সম্পন্ন করে থাকেন তবে তার কিছুদিনের মধ্যেই মালয়েশিয়া ভিসার যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

 

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করতে হলে প্রথমেই মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্ট্মেন্টের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে ভিসা এপ্লিকেশনের স্ট্যাটাস অপশনে আপনার পাসপোর্ট নম্বর এবং ভিসা আবেদন নম্বর প্রবেশ করিয়ে ভিসা আবেদনের স্ট্যাটাসটি দেখতে পাবেন। যদি কোন কারণে ভিসা আবেদনটি প্রত্যাখ্যিত হয়, তাহলে তার কারণও সেখানে দেখতে পাবেন। 

 

শেষকথা

যারা পূর্বে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন এবং যাদের আবেদন তথ্য ডাটা বেজে উল্লেখ আছে, তারা ক্রমানুযায়ী মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন, ঘাবড়ানোর কিছু নেই। মালয়েশিয়া ভিসা সম্পর্কিত অন্যান্য যে কোন তথ্য জানতে এখনি যোগাযোগ করুন জেজি আলফালাহ ম্যানেজমেন্টের সাথে অথবা +8801321145901 নাম্বারে কল করুন।

Leave a Reply